হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মাওলানা তাকি আব্বাস রিজভী বলেন, বিহারের শহর পাটনায় হিজাব পরিহিত এক নারীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যে আচরণ প্রকাশ্যে এসেছে, তার জন্য পুরো দেশ ও সমাজের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, এমন একটি লজ্জাজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ রসালাপ ও কৌতুকের বিষয় বানাচ্ছে, যা আমাদের সামাজিক অবক্ষয়েরই প্রতিচ্ছবি।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার মোহ ও জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে নীতীশ কুমার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। সোমবার এক সরকারি অনুষ্ঠানে একজন মুসলিম নারী ডাক্তারের হিজাব জোরপূর্বক খুলে দেওয়ার ঘটনা আজ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। এই সস্তা, অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ চরম নিন্দনীয়; এর নিন্দা যতই করা হোক, তা যথেষ্ট নয়।
আহলেবাইত ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি বলেন, এই ধরনের আচরণ নীতীশ কুমারের শিক্ষা-দীক্ষা ও পারিবারিক মূল্যবোধের পরিচয় বহন করে। এটি শুধু আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য লজ্জাজনক নয়, বরং দেশ ও সমাজের সব নারীর মর্যাদা, সম্মান ও নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে উদ্বেগজনক।
মাওলানা তাকি আব্বাস রিজভী বলেন, এই ঘটনার নিন্দা করা প্রত্যেক সচেতন, বিবেকবান ও চিন্তাশীল মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ এটি শুধু একজন হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীর বিরুদ্ধে অন্যায় নয়; বরং সমাজের সব নারীর জন্যই এক ভয়াবহ বার্তা, যা সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে পারে। তিনি বলেন, হিজাব, ঘোমটা, পর্দা, বোরকা, নিকাব বা স্কার্ফ—এসব নারীর লজ্জা ও শালীনতা, মর্যাদা ও অবস্থান, সম্মান ও পরিচয় রক্ষার প্রতীক। ভারতের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি ও বিশ্বাস পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে ধর্মের অনুসারী, সেই ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয়—অন্যের নারীদের সম্মান রক্ষা করতে হবে, যাতে আমাদের নিজেদের নারীদের সম্মান ও ইজ্জত সুরক্ষিত থাকে।
সবশেষে, ভারতের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও আহলেবাইত ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মাওলানা তাকি আব্বাস রিজভী কলকাতভী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের একাধিক অশালীন আচরণের ভিডিও দেখে স্পষ্টভাবে মনে হয়, তিনি জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর উচিত অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো।
আপনার কমেন্ট